রেজিস্ট্রেশন আইনের ৪১ ধারা মােতাবেক পােষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিল হলে তা সাধারণ দলিলের ন্যায় রেজিস্ট্রি হবে। পােষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতা পত্র স্বয়ং দাতা ব্যতীত যার দলিল করার ক্ষমতা আছে এরূপ কোন ব্যক্তি দ্বারা দাখিল হলে, রেজিস্টারিং অফিসার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি তদন্ত করে সন্তুষ্ট হলে তা রেজিস্ট্রি করবেন –
- (এ) পােষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র উইলকারী বা দাতা কর্তৃক সম্পাদিত হয়েছে কিনা,
- (বি) দাতার মৃত্যু হয়েছে কিনা; এবং
- (সি) ৪০ ধারা মতে উক্ত উইল বা ক্ষমতাপত্র দাখিলকারীর দাখিল করার অধিকার আছে কিনা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবদ্দশায় দত্তক গ্রহণের সম্মতিপত্র (প্রাধিকারপত্র) রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করা এবং দত্তক গ্রহণের সম্মতিদাতার মৃত্যুর পরে তা রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। প্রথমােক্ত ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইনের ৩৫ ধারা এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের তদন্তের জন্য ৪১(২) উপ-ধারায় বর্ণিত বিশেষ বিধান কার্যকর হয়।
৪১ ধারার অধীনে দায়িত্ব পালনকালে রেজিস্টারিং অফিসার কতিপয় বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত করে অথবা সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক সন্তুষ্ট হওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করেন; যথা- প্রাধিকারপত্রটি প্রকৃত (genuine) কিনা। এরূপে গৃহীত সাক্ষ্য পরবর্তীতে উদ্ভুত কোন মােকদ্দমায় ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৩৩ ধারা মােতাবেক সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হয়। কোন সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দত্তক গ্রহণের প্রাধিকারপত্রের রেজিস্ট্রেশন প্রত্যাখ্যান করা হলে উক্ত প্রত্যাখ্যান আদেশের বিরুদ্ধে প্রযােজ্যক্ষেত্রে ৭২ বা ৭৩ ধারা মতে জেলা-রেজিস্ট্রার বরাবর আপিল বা আবেদন করা যায়। জেলা-রেজিস্ট্রার কর্তৃকও উক্ত আবেদন বা আপিল প্রত্যাখ্যাত হলে, উক্ত দত্তক গ্রহণের প্রাধিকারপত্রটি রেজিস্ট্রিকরণের আবেদন জানিয়ে উপযুক্ত দেওয়ানী আদালতে ৭৭ ধারার বিধান অনুযায়ী মােকদ্দমা দায়ের করা যায়।