কোন দলিল দ্বারা যদি কোন সম্পত্তির সহ-মালিকগণ ঐ সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় পৃথকভাবে ভাগ করে নেয়, তাহলে তাকে বণ্টননামা বা বাটোয়ারা দলিল বলে । রেজিস্ট্রেশন আইনের ১৭(১)(এফ) উপ-ধারা অনুযায়ী স্ব-স্ব ব্যক্তিগত ধর্মীয় আইন অনুযায়ী প্রাপ্য ওয়ারিশী স্থাবর সম্পত্তির বণ্টন বিষয়ক দলিল রেজিস্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের ২৭.০৭.২০০৮ তারিখের নথি নং-জারাবাে/কর-৭/আঃআঃবিঃ/০৬/২০০৬/১৮১ নং পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওয়াকফ ও দোবােত্তর দান এবং বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮-এর ১৭(১) ধারার যথাক্রমে ক্লজ (এ), ক্লজ (এএ) এবং ক্লজ (এফ)-এর আওতাভুক্ত এবং উক্ত ক্লজসমূহ আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ধারা ৫৩এইচ-এর সাথে সংশ্লিষ্ট নয় বিধায় ওয়াকফ ও দোবােত্তর দান এবং বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর আদায়যােগ্য নয়।
জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের বর্ণিত সিদ্ধান্তে যেহেতু রেজিস্ট্রেশন আইনের ১৭(১)(এফ) ধারা উল্লেখ করা হয়েছে, সেহেতু ওয়ারিশী স্থাবর সম্পত্তির বণ্টননামা দলিলের ক্ষেত্রে উৎসে কর (৫৩এইচ) প্রযােজ্য নয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের নথি নং ০৮.০১.০০০০.০৩১.০১.০০৪ (অংশ-১).২০১১-৩৬ তারিখ ০৯ জুন, ২০১৫ – এর মাধ্যমে একই দলিল দ্বারা ভাইবােন, মা-বাবা, পিতা-পুত্র-কন্যা বা স্বামী-স্ত্রীর নামে যৌথ মালিকানায় ক্রয়কৃত জমির মালিকগণের মধ্যে দলিল অনুযায়ী বণ্টনকালে বণ্টননামা দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে ৫৩এইচ ধারায় উৎসে আয়কর আদায়ের প্রযােজ্যতা নেই মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।