ধারা ৩১ঃ ব্যক্তিগত আবাসস্থলে নিবন্ধন বা জমাকরণের জন্য দলিল গ্রহণ

এই আইনের অধীন দলিলপত্র দাখিলকরণ, নিবন্ধন ও জমাকরণ সাধারণত উক্ত দলিল নিবন্ধীকরণ বা জমা গ্রহণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্পন্ন হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ কারণ দর্শাইতে পারিলে উক্ত কর্মকর্তা নিবন্ধনের জন্য কোন দলিল দাখিল করিতে বা উইল জমা করিতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে গমন করিতে পারিবেন এবং নিবন্ধন বা জমাকরণের জন্য উক্তরূপ দলিল বা উইল গ্রহণ করিতে পারিবেন।

টীকা (১) : “বিশেষ কারণ (Special cause)” – ইহা ৩৮ ধারার (১) উপ-ধারার (ক), (খ) ও (গ) দফায় প্রদত্ত কারণসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে, তবে ‘‘বিশেষ কারণ’’ শুধু উক্ত কারণগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নহে। আবেদনকারী কর্তৃক প্রদর্শিত কারণসমূহের পর্যাপ্ততা বিচার করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা হইলেন উত্তম বিচারক এবং যদি তিনি সন্তুষ্ট হন, তাহা হইলে তাহার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের ক্ষমতা দেওয়ানি আদালতের নাই। – ১৮৮১, ৬ বোম্বাই ৯৬।

টীকা (২) : এই ধারা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, অস্বাভাবিক জরুরি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনবশত অন্য যে কোন স্থনে, যেমন: আদালত ভবন, রেলওয়ে স্টেশন বা যেখানে উক্ত প্রত্যাশী দাখিলকারীর উপস্থিত থাকিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, সেখানে পরিদর্শন করিতে বাধা নাই। – ১৯২০ অযোধ্যা ১৬০; ৫৮ আই. সি ৯০৬।

টীকা (৩) : পরিদর্শনের বিষয়টি অপরিহার্য করিবার মত গ্রহণযোগ্য কারণ, যেমন: অসুস্থতা, পর্দানশীনতা, কারাগারে আটকাবস্থ বা এইরূপ অন্য কোন কারণ না থাকিলে পরিদর্শন করা যাইবে না। আবেদনকারীর সামাজিক অবস্থ, বা গোত্র, বা সম্পদ বিবেচনায় না নিয়া উক্ত কারণের যথার্থতা বিচার করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাই উত্তম বিচারক। কোন ধনী ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করিতে হইবে, যদি পরিদর্শনের একমাত্র উদ্দেশ্য বিত্ত প্র দর্শন করা হইয়া থাকে।

টীকা (৪) : “দলিল দাখিল করিতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি” এই শব্দগুলি যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অনুকলে দলিল সম্পাদিত হইয়াছে শুধুতাহাদিগকেই অন্তর্ভুক্ত করে না, বরং যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ দলিল সম্পাদন করেন তাহাদিগকেও অন্তর্ভুক্ত করে।

টীকা (৫) : বাস্তবিকপক্ষে দলিলের “সম্পাদনকারী বা গ্রহণকারী” ব্যতীত অপর কেহ ৩১ ধারার অধীন কমিশনের আবেদন দাখিল করিলে দলিলের নিবন্ধন অবৈধ হয় না। – ১ বি.এস্.সি.ডি ২৫৯।