ধারা ২৮ঃ ভূমি সংক্রান্ত দলিল নিবন্ধনের স্থান

(১) এই অংশের ভিন্নরূপ বিধান ব্যতীত, ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (খ), (গ), (ঘ) এবং (ঙ) এবং ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (২) এবং ধারা ১৮ এ উল্লিখিত প্রত্যেকটি দলিল, যতদূর স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত তাহা, নিবন্ধনের জন্য সেই সাব-রেজিস্ট্রারের কাযালয়ে দাখিল করিতে হইবে, যে সাব-রেজিস্ট্রারের উপ-জেলায় এইরূপ দলিল সম্পর্কিত সম্পত্তির সমগ্র বা [২৮] [বৃহত্তর অংশ] অবস্থিত [২৯] [:তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সম্পত্তির বৃহত্তর অংশ একই উপ-জেলায় অবস্থিত না হইলে যে সাব-রেজিস্ট্রারের এলাকায় এইরূপ সম্পত্তির কোন অংশবিশেষ অবস্থিত সেই সাব-রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে দলিলটি নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা যাইবে।]

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন,

(ক) একটি দলিল নিবন্ধিত হইবার পর, উহার কোন পক্ষই এইরূপ কোন কারণে উহার নিবন্ধনের বৈধতার প্রশ্ন উত্থাপন করিবার অধিকারপ্রাপ্ত হইবে না যে, সাব-রেজিস্ট্রারকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত দলিল নিবন্ধন করিতে এখতিয়ার প্রদান করা হইয়াছে মর্মে প্রতীয়মান হয়, উক্ত সম্পত্তি হয় অস্তিত্বহীন বা কাল্পনিক অথবা অকিঞ্চিৎকর বা হস্তান্তরের জন্য অভিপ্রেত ছিল না; এবং

(খ) অস্তিত্বহীন, কাল্পনিক অথবা অকিঞ্চিৎকর অংশ বা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করিয়া যে দলিলের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হইয়াছে সেই দলিল কোনভাবে এমন ব্যক্তির কোন অধিকারের হানি ঘটাইবে না যিনি উক্ত দলিলের পক্ষ ছিলেন না এবং উক্ত দলিলমূলে যে লেন-দেন হইয়াছে তৎসম্পর্কে জ্ঞাত না হইয়া উক্ত দলিলভুক্ত সম্পত্তিতে অধিকার অর্জন করিয়াছেন।

টীকা (১) : এই ধারা স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত ডিক্রি বা আদেশের নকল ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত অন্যান্য দলিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং উক্ত দলিল যে সম্পত্তি সংক্রান্ত সেই সম্পত্তির অবস্থান উল্লিখিত দলিল নিবন্ধনের স্থান (কার্যালয়) নির্ধারণ করে।

টীকা (২) : স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত দলিলের আংশিক বাংলাদেশে এবং আংশিক বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হইলে যে সাব-রেজিস্ট্রারের উপ-জেলায় সম্পত্তিটির কিছুঅংশ অবস্থিত সেই সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য দলিলটি গৃহীত হইতে পারে (১৯০০-২৫ বোম্বাই ৫০), তবে এইরূপ ক্ষেত্রেনিবন্ধনের প্রত্যায়নপত্রে উল্লেখ করিতে হইবে যে, যে এলাকায় নিবন্ধন আইন প্রযোজ্য কেবল সেই এলাকার সম্পত্তির ক্ষেত্রে উক্ত নিবন্ধন কার্যকর হইবে।

টীকা (৩) : এইরূপ কোন নির্দেশ নাই যে, স্বয়ং সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক তাহার কাযালয়ে কোন দলিল গ্রহণ করিবার কার্যটি সম্পন্ন করিতে হইবে। – ১৯৫৫ মধ্যপ্রদেশ, ভূপাল ২০৫। তবে, উক্ত কার্য সাব-রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হইতে হইবে।

টীকা (৪) : স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত দলিল নিবন্ধনের স্থান – যেক্ষেত্রে কোন দলিলে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির কোন অংশই কোন সাব-রেজিস্ট্রারের অধিক্ষেত্রের অধীন না হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত দলিল নিবন্ধনের এখতিয়ার সাব-রেজিস্ট্রারের নাই এবং যদি নিবন্ধন করা হয় তবে উহা হইবে প্রতারণা। – ৬১ ডি.এল.আর ২৯৯।

টীকা (৫) : নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫ নং আইন), নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৭ নং আইন) এবং নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪১ নং আইন) দ্বারা সংশোধিত ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (১) এর (কক), (ককক), (গগ), (ছ) এবং (জ) দফায় উল্লিখিত দলিলসমূহ এবং নূতন সংযাজিত ধারা ১৭ক এ উল্লিখিত বায়না চুক্তি দলিলের প্রযোজ্যতা ধারা ২৮ এর উপধারা (১) এর উদ্দেশ্য ও পরিধির আওতাধীন।

[২৮] নিবন্ধন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ৫০নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ২ দ্বারা ‘কিছু অংশ’ শব্দগুলির স্থলে ‘বৃহত্তর অংশ’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত।

[২৯] নিবন্ধন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ৫০নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ২ দ্বারা ‘‘.’’ স্থলে  ‘‘;’’ যতিচিহ্ন প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি সংযোজিত।