ধারা ২৬ঃ বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত দলিলপত্র

বাংলাদেশের বাহিরে সকল বা যে কোন পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত বলিয়া দাবিকৃত কোন দলিল দাখিলকরণের জন্য ইতঃপূর্বে নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যেক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা না হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,-

(ক) দলিলটি উক্তরূপে সম্পাদিত, এবং

(খ) ইহা বাংলাদেশে পৌঁছাইবার পর চার মাস সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হইয়াছে,

তাহা হইলে তিনি, উপযুক্ত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, উক্ত দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করিতে পারিবেন।

টীকা (১) : এই ধারা সকল বা যে কোন পক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত দলিলের ক্ষেত্রে প্র যোজ্য এবং এইরূপ দলিল বাংলাদেশে পৌঁছাইবার পর সম্পাদনের তারিখ নির্বিশেষে দাখিলকরণের সর্বো”চ সময় সীমা ৪ (চার) মাস। জরিমানা প্রদান করা হইলেও ২৫ ধারা অনুসারে এই সময়সীমা আর বর্ধিত করা যাইবে না। তবে ৩৪(১) ধারা মতে সম্পাদনকারীগণের উপস্থিতির জন্য সময় বর্ধিত করা যাইতে পারে।

টীকা (২) : দলিলটি কখন বাংলাদেশে পৌঁছাইল, উহা একটি ঘটনাগত আলোচ্য বিষয়। বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত একটি দলিল কখন বাংলাদেশে পৌঁছাইল তাহা প্রমাণের জন্য দালিলিক এবং বাচনিক সাক্ষ্য প্রয়োজন হইবে (১৮৯৪ আই.সি.আই.জে ১২৬, পৃষ্ঠা ১৩২)। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যেক্ষেত্রে দলিলটি বাংলাদেশে পৌঁছাইবার ৪ (চার) মাসের মধ্যে দাখিল করা হইয়াছে মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া নিবন্ধীকরণের জন্য উহা গ্রহণ করেন, সেইক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালত ৭৭ ধারার অধীন বা অন্য কোনভাবে তাহার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করিতে পারে না (৩০ বোম্বাই, ৩০৪)। কিন্তু‘ যদি উপরিউক্তরূপে, সুনিশ্চিত না হইয়া নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধন অগ্রাহ্য করেন, সেইক্ষেত্রে আপিল বা মামলা দায়ের করাই হইবে একমাত্র প্রতিকার।

টীকা (৩) : ১৭ক এবং ২৩ হইতে ২৬ ধারা অনুযায়ী অনুমোদিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর দাখিলকৃত দলিলের নিবন্ধন অসিদ্ধ, কারণ এইরূপ নিবন্ধন ৮৭ ধারা অনুযায়ী সংশোধনযোগ্য ত্রুটি নহে, বরং এইরূপ একটি ত্রুটি যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিবন্ধন করিবার ক্ষমতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।