ধারা ২৩কঃ কতিপয় দলিলের পুনঃনিবন্ধন

[২৭] [এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ক্ষেত্রে দলিল দাখিল করিতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নহে এমন কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য কোন দলিল গৃহীত এবং নিবন্ধিত হয়, তাহা হইলে উক্ত দলিলের অধীন গ্রহীতাগণের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি, এইরূপ দলিলের নিবন্ধন যে অবৈধ হইয়াছে উহা প্রথম অবহিত হওয়ার চার মাসের মধ্যে যে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিলটি প্রথমে নিবন্ধন করা হইয়াছিল সেই রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অংশ ৬ এর বিধানাবলি অনুসারে পুনঃনিবন্ধনের জন্য দাখিল করিতে বা করাইতে পারিবেন; এবং রেজিস্ট্রার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, দলিলটি দাখিল করিবার জন্য যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নহে এমন ব্যক্তির নিকট হইতে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইয়াছিল, তাহা হইলে তিনি দলিলটি পুনঃনিবন্ধনের জন্য এইরূপে পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন যেন ইহা পূর্বে নিবন্ধিত হয় নাই এবং পুনঃনিবন্ধনের জন্য দাখিলকরণ যেন অংশ ৪ এর অধীন নিবন্ধনের জন্য অনুমোদিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হইয়াছে; এবং দলিল নিবন্ধনের বিষয়ে এই আইনের বিধানাবলি এইরূপ পুনঃনিবন্ধনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে; এবং উক্ত দলিল যদি এই ধারার বিধানাবলি অনুসারে যথাযথভাবে নিবন্ধিত হয়, তাহা হইলে উহা প্রথম নিবন্ধনের তারিখ হইতে সাবিক উদ্দেশ্যে যথাযথরূপে নিবন্ধিতহইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে, শর্ত থাকে যে, দলিলটির নিবন্ধন অবৈধ মর্মে প্রথম জ্ঞাত হইবার সময় যাহাই হউক, এই ধারা প্রযোজ্য হয় এমন কোন দলিলের অধীন দাবিদার কোন ব্যক্তি এই ধারা অনুসারে ১৯১৭ সনের সেপ্টেম্বর মাসের দ্বাদশ দিবস হইতে তিন মাসের মধ্যে উহা পুনঃনিবন্ধনের জন্য দাখিল করিতে বা করাইতে পারিবেন।]

টীকা: আলোচ্য ধারাটি হইতে প্রতীয়মান হয় যে, যেক্ষেত্রে দাখিল করিবার জন্য যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নহে এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয় এবং দলিলটি গৃহীত ও নিবন্ধিত হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধন অসিদ্ধ হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত ধারায় বিধান করা হইয়াছে যে, দলিলটির নিবন্ধন যে বৈধ হয় নাই এই তথ্যটি প্রথম জ্ঞাত হইবার ৪ (চার) মাস সময়ের মধ্যে উক্ত দলিলের যে কোন গ্রহীতা কর্তৃক নিবন্ধন করিবার জন্য পুনরায় দাখিল করা যাইবে এবং উহা পুনরায় নিবন্ধন করা যাইবে।

[২৭] ভারতীয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ১৯১৭ (১৯১৭ সনের ১৫নং আইন) এর ধারা ২ দ্বারা সন্নিবেশিত।