ধারা ১৯ঃ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট বোধগম্য নহে এইরূপ ভাষায় লিখিত দলিলপত্র

যদি যথাযথভাবে দাখিলকৃত কোন দলিল এমন কোন ভাষায় লিখিত হয়, যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট বোধগম্য নহে, এবং যাহা সচরাচর সংশ্লিষ্ট জেলায় ব্যবহৃত হয় না, তাহা হইলে তিনি সংশ্লিষ্ট জেলায় সাধারণভাবে প্রচলিত ভাষায় উহার একটি সঠিক অনুবাদ ও একটি অবিকল নকল দ্বারা সংযুক্ত করা না হইলে, দলিলটি নিবন্ধন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিবেন।

টীকা (১) : নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কেবল এই কারণে জেলায় সাধারণভাবে প্রচলিত ভাষায় লিখিত কোন দলিল নিবন্ধন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারেন না যে, তিনি ঐ ভাষা বুঝেন না। এই ধারার অধীন দাখিলকৃত দলিলের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের পদ্ধতির জন্য ৬২ ধারা দ্রষ্টব্য।

টীকা (২) : যদি দাখিলকারক-
(ক) জেলায় সাধারণভাবে প্রচলিত ভাষায় দলিলের একটি সঠিক অনুবাদ; এবং
(খ) মূল দলিলের একটি অবিকল নকল সরবরাহ করিতে অস্বীকার করেন,
তাহা হইলে ১৯ ধারা অনুসারে নিবন্ধন অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে হইবে।

টীকা (৩) : ১৯ ও ৩৫ ধারায় “নিবন্ধন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন” এবং ২০ ও ২১ ধারায় বর্ণিত “নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন” এই দুইটি বাক্যাংশ দ্বারা স্পষ্টত ভিন্ন ভিন্ন বিষয় বুঝায়। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রথম যে কার্যটি করিতে হইবে, তাহা হইল কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য আদৌ গ্রহণ করা হইবে কি হইবে না, সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্র হণ করা। শুধুমাত্র নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করিবার পর নিবন্ধন করিতে অগ্রাহ্য করিবেন কিনা সম্পাদর স্বীকার, অস্বীকার এবং সাক্ষ্য হইতে উদ্ভূত সেই প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি বিবেচনা করিতে পারেন। – ২১ বোম্বাই ৬৯৯।

তবে ৭৬ এবং ৭৭ ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিবন্ধনের জন্য দলিল গ্রহণ করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন এবং নিবন্ধন করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। -৪০ মাদ্রাজ ৭৫৯।