ধারা ১৭ঃ যে সকল দলিলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

(১) নিম্নবর্ণিত দলিলপত্র নিবন্ধন করিতে হইবে, যদি উহা এইরূপ কোন জেলার অন্তর্গত সম্পত্তি সম্পর্কিত হয়, যে জেলার ক্ষেত্রে [১২] [***] এই আইন প্রযোজ্য, এবং এই আইন যে তারিখে কাযকর হইয়াছে বা হয় সেই তারিখে বা তাহার পর যদি উহা সম্পাদিত হইয়া থাকে, যথা:-

  • (ক) স্থাবর সম্পত্তির দান সংক্রান্ত দলিল;
  • [১৩] [(কক) মুসলমানগণের ব্যক্তিগত আইন (শরীয়াহ্) এর অধীন হেবার ঘোষণা;]
  • [১৪] [(ককক) হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধগণের ব্যক্তিগত আইনের অধীন দানের ঘোষণা;]
  • (খ) উইল ব্যতীত অন্যান্য দলিল যাহা দ্বারা বর্তমানে বা ভবিষ্যতে [১৫] [***] কোন স্থাবর সম্পত্তিতে কায়েমি বা সম্ভাব্য কোন অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ সৃজন, ঘোষণা, অর্পণ, সীমিত, বা অবসান করা হয় বা করা হইতে পারে মর্মে অর্থ বহন করে;
  • ব্যাখ্যা।- কোন বন্ধকের স্বত্ব-নিয়োগের ক্ষেত্রে, স্বত্ব-নিয়োগপত্রে উল্লিখিত পণ উহার নিবন্ধনের জন্য মূল্য হিসাবে গণ্য হইবে
  • (গ) উইল ব্যতীত অন্যান্য দলিল [দফা (খ) এর অধীন নিবন্ধিত কোন দলিল সংক্রান্ত লেনদেনের রসিদ বা অর্থ পরিশোধের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র ব্যতীত] যাহা উক্তরূপ অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ সৃজন, ঘোষণা, অর্পণ, সীমিত বা অবসান হওয়ার কারণে কোন রসিদ প্রাপ্তি বা পণ পরিশোধের স্বীকার সম্বলিত হয়;
  • [১৬] [ (গগ) সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ধারা ৫৯ এ উল্লিখিত বন্ধকি দলিল; ]
  • (ঘ) সন সনা বা এক বৎসরের অধিক মেয়াদের জন্য বা বাৎসরিক খাজনা সংরক্ষণক্রমে স্থাবর সম্পত্তির ইজারা;
  • (ঙ) উইল ব্যতীত অন্যান্য দলিল যাহা দ্বারা আদালতের ডিক্রি বা আদেশ অথবা কোন রোয়েদাদ হস্তান্তরিত বা অর্পিত হয় এবং যেক্ষেত্রে উক্তরূপ ডিক্রি, আদেশ বা রোয়েদাদ দ্বারা বর্তমানে বা ভবিষ্যতে [১৭] [***] কোন স্থাবর সম্পত্তিতে কায়েমি বা সম্ভাব্য কোন অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ সৃজন, ঘোষণা, অর্পণ, সীমিত, বা অবসান করা হয় বা করা হইতে পারে মর্মে অর্থ বহন করে;
  • [১৮] [ (চ) স্ব স্ব ব্যক্তিগত আইনানুসারে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তির বণ্টননামা দলিল;
  • (ছ) কোন আদালতের নির্দেশক্রমে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ধারা ৯৬ এর অধীন বিক্রয় দলিল]:
  • তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, কোন জেলা বা জেলার কোন অংশে সম্পাদিত কোন ইজারা দলিল, যাহার মেয়াদ অনূর্ধ্ব পাঁচ বৎসর এবং যাহার সংরক্ষিত বাৎসরিক খাজনা অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ টাকা নির্ধারণ করা হইয়াছে, উহাকে এই উপ-ধারার কাযক্রম হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

(২)উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) ও (গ) এর কোন কিছুই নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

  • (ক) কোন আপোস-মিমাংসা দলিল; বা
  • (খ) যৌথ মূলধনী কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত দলিল, যদিও উক্তরূপ কোম্পানির সম্পদ সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে স্থাবর সম্পত্তি; বা
  • (গ) উক্তরূপ কোন কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চার যাহার মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তির উপর কোন অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ সৃজন, ঘোষণা, অর্পণ, সীমিত বা অবসান না করিয়া নিবন্ধিত দলিল যেমন গ্রহীতাকে নিরাপত্তা প্রদান করে সেইরূপ নিরাপত্তার অধিকার প্রদান করিয়া থাকে এবং এইরূপ নিবন্ধিত দলিলের দ্বারা যৌথ কোম্পানি উহার স্থাবর সম্পত্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অথবা স্থাবর সম্পত্তিজাত কোন স্বার্থ ট্রাস্টিগণের মাধ্যমে বেঞ্চার গ্রহীতার মঙ্গলার্থে বন্ধক, সমর্পণ বা অন্যভাবে হস্তান্তর করে; বা
  • (ঘ) উক্তরূপ কোন কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন পৃষ্ঠাঙ্কন সম্বলিত বা হস্তান্তরিত ডিবেঞ্চার; বা
  • (ঙ) এইরূপ কোন দলিল যাহা স্বয়ং [১৯] [***] কোন স্থাবর সম্পত্তিতে কোন অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ সৃজন করে না, ঘোষণা করে না, অর্পণ করে না, সীমিত করে না বা অবসান ঘটায় না, তবে কেবল অন্য কোন দলিল লাভের অধিকার সৃষ্টি করে যাহা সম্পাদিত হইলে, উক্তরূপ যে কোন অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ সৃজন করিবে, ঘোষণা করিবে, অর্পণ করিবে, সীমিত করিবে বা অবসান ঘটাইবে; বা
  • (চ) মামলা বা আইনগত কার্যধারার বিষয় বস্তু ভিন্ন কোন স্থাবর সম্পত্তির মীমাংসা সংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষিত ডিক্রি বা আদেশ ব্যতীত আদালতের অন্য কোন ডিক্রি বা আদেশ; বা
  • (ছ) সরকার কর্তৃক স্থাবর সম্পত্তির যে কোন মঞ্জুরি; বা
  • (জ) কোন রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক প্রস্তুতকৃত বাটোয়ারা দলিল; বা
  • (ঝ) ভূমি উন্নয়ন আইন, ১৮৭১ বা ভূমি উন্নয়ন ঋণ আইন, ১৮৮৩ এর অধীন ঋণ মঞ্জুরি আদেশ বা মঞ্জুরকৃত কোন ঋণের অতিরিক্ত জামানত দলিল; বা
  • (ঞ) কৃষিজীবী ঋণ আইন, ১৮৮৪, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সনের ২৭ নং আদেশ) বা কৃষিকার্যের উদ্দেশ্যে অগ্রিম ঋণ প্রদান সম্পর্কিত আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন ঋণ মঞ্জুরির কোন আদেশ, বা কোন সমবায় সমিতি কর্তৃক অনুরূপ কোন উদ্দেশ্যে ঋণ মঞ্জুর সংক্রান্ত কোন দলিল, বা উক্তরূপে মঞ্জুরকৃত ঋণ পরিশোধকে নিশ্চিত করিবার নিমিত্ত সৃষ্ট কোন দলিল; বা
  • (ট) ঋণস্বরূপ প্রদত্ত টাকার সম্পূর্ণ বা আংশিক পরিশোধ সংক্রান্ত প্রাপ্তিস্বীকার করিয়া বন্ধকী দলিলের উপরে পৃষ্ঠাঙ্কন এবং কোন বন্ধকের অধীন প্রাপ্য কোন অর্থ পরিশোধের জন্য অন্য কোন রসিদ; বা
  • (ঠ) কোন সিভিল বা রাজস্ব কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকাশ্য নিলামে বিক্রিত কোন সম্পত্তির ক্রেতার বরাবর মঞ্জুরিকৃত নিলাম বিক্রয়ের সার্টিফিকেট; বা
  • (ড) কোন ইজারা দলিলের প্রতিলিপি, যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইজারা দলিলটিই নিবন্ধিত হইয়াছে।
  • [২০] [***]। (বিলুপ্ত)।

(৩) ১৮৭২ সনের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিবসের পরে সম্পাদিত এবং উইল দ্বারা প্রদত্ত নহে, দত্তকপুত্র গ্রহণের এইরূপ প্রাধিকারপত্রও নিবন্ধন করিতে হইবে।

টীকা (১) : যে সকল দলিলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক, ১৭ ধারায় সেই সকল দলিলের বিষয়ে আলোচনা করা হইয়াছে। এই ধারায় কার্যত এই মর্মে বিধান করা হইয়াছে যে, উইল ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল দলিল, উপ-ধারা (২) এর ব্যতিক্রম সাপেক্ষে, নিবন্ধিত হইবে।

টীকা (২) : “দান” – দানের সংজ্ঞা এবং উহার হস্তান্তরের পদ্ধতির জন্য সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ (১৮৮২ সনের ৬নং আইন) এর ১২২ ও ১২৩ ধারা দ্রষ্টব্য।

টীকা (৩) : “অন্যান্য” ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ)- তে ‘অন্যান্য’ শব্দটি দ্বারা দফা (ক)- এ উল্লিখিত দানপত্র দলিলকে আওতা বহির্ভূত করা হইয়াছে। (১৫ সি.ডব্লিউ.এন, ৩৭৫, ৩৭৮; ২৩ ক্যাল ৪৫০, ৪৫২)। দফা (খ) একটি যথার্থ সমন্বিত দফা, কারণ উহার দ্বারা বিক্রয়, বন্ধক, বিনিময়, বণ্টন, স্বত্বার্পণ, সমর্পণ, ট্রাস্ট, বন্দোবস্ত ইত্যাদিকে আওতাভুক্ত করা হইয়াছে।

টীকা (৪) : “উইল ব্যতীত অন্যান্য দলিল (Non-testamentary)” অর্থ উইল বা ক্রোড়পত্র ব্যতীত অন্যান্য দলিল।

টীকা (৫) : “ইচ্ছাপত্র বা উইল (Testament)” অর্থ আনুষ্ঠানিক ও প্রামাণিক লিখিত দলিল যাহা দ্বারা কোন ব্যক্তি তাহার মৃত্যুর পর তাহার সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তাহার নিজের ই”ছা ঘোষণা করেন।

টীকা (৬) : “সৃজন করে বা করিতে পারে (Purport or operate)” শব্দগুলি দ্বারা স্বয়ং ক্রিয়াপূর্বক সৃষ্টি করা, ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ করে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, এমন দলিল যাহার দ্বারা কোন বিক্রয়, বিনিময়, বন্ধক, স্বত্বার্পণ, বাটোয়ারা, ট্রাস্ট, বন্দোবস্ত বা অন্য যে কোন স্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর কার্যকর হয়।

টীকা (৭) : “সৃজন করা, ঘোষণা করা, স্বত্বনিয়োগ করা, সীমিত করা বা অবসান করা”- ইচ্ছার অভিব্যক্তির প্রকাশ হিসাবে এই শব্দগুলি দলিলে উল্লেখেপূবক কোন সস্থাবর সম্পত্তিতে পক্ষগণের আইনানুগ সম্পর্কের নির্দিষ্ট পরিবর্তন বুঝাইতে ব্যবহৃত হয়।

“সৃজন করা”। অর্থাৎ ইজারা, বন্ধক, ঋণপত্র দ্বারা।

“ঘোষণা করা”। অর্থাৎ বণ্টনপত্র, ট্রাস্ট, ডিক্রি, রোয়েদাদ দ্বারা।

“সীমিত করা”। অর্থাৎ “জমির মালিক বিশেষ বিশেষ দিনে বাজার চালুরাখিতে সম্মত নহেন” এই ধরনের শর্ত আরোপ দ্বারা।

“অবসান ঘটানো” । অর্থাৎ সমর্পণ, বর্জন, স্বত্বার্পণ দ্বারা।

টীকা (৮) : “বর্তমানে বা ভবিষ্যতে” এই অভিব্যক্তিটি অধিকার, স্বত্ব এবং স্বার্থ এই সকল বিশেষ্যের সহিত নহে বরং ইহার পূববতী বাক্যাংশের সহিত পঠিত হইবে।

টীকা (৯) : “কোন অধিকার, স্বত্ব এবং স্বার্থ” – এই শব্দগুলির প্রতিটির একটি ভিন্নতর অর্থ আছে। অনুরূপ অর্থে সুখাধিকার পার্শ্ববর্তী জমিতে একটি স্বার্থ বিশেষ, কিন্তু‘ অধিকার বা স্বত্ব নহে। সম্পত্তির উপর আরোপিত কর, খাজনা, ভাড়া ইত্যাদি উহাতে একটি অধিকার বিশেষ।

টীকা (১০) : “কায়েমি এবং সম্ভাব্য (Vested or contingent)”- “কায়েমি স্বার্থ” এবং “সম্ভাব্য স্বাথ” শব্দগুলির অর্থ সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ (১৮৮২ সনের ৪নং আইন) এর ১৯ ও ২১ ধারার অর্থের অনুরূপ।

দৃষ্টান্ত : ‘ক’-কে তাহার জীবৎকালের জন্য একটি সম্পত্তি দান করা হইল এবং তাহার মৃত্যুর পর তাহার যে ছেলে প্রথম সাবালকত্ব প্রাপ্ত হইবে সে উক্ত দানের সম্পত্তি লাভ করিবে। এখানে ‘ক’-এর স্বার্থ কায়েমি এবং ‘ক’-এর পুত্রের অনুকূলে যে স্বার্থ উদ্ভব হইবে তাহা সম্ভাব্য স্বার্থ এবং সে সাবালকত্ব প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাহা কায়েমি স্বার্থে পরিণত হয় না। উল্লেখ্য কোন ব্যক্তির পুত্র বা কন্যা বা অন্যান্য উত্তরাধিকারীগণের উক্ত ব্যক্তির সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভের অধিকার কায়েমি বা সম্ভাব্য অধিকারের কোনটিই নহে।

টীকা (১১) : “পণ (Consideration)” এই শব্দটি কোন কিছু দেওয়া, করা, বা বিরত হওয়ার বিনিময়ে অপর পক্ষ কর্তৃক প্রদেয়, বা কৃত বা বিরত থাকাকে বুঝায়। [তুলনীয় চুক্তি আইন, ১৮৭২ এর ধারা ২(ডি)]। পণ নগদ অর্থও হইতে পারে বা পরিশোধ করিবার প্রতিশ্রুতিও হইতে পারে। – ডি.এল.আর ১০, ১৯৫৮।

টীকা (১২) : “সন সনা ইজারা (Lease from year to year)” ইহা এমন একটি প্রজাস্বত্ব যাহা পক্ষগণ সন্তুষ্ট থাকা পর্যন্ত সন সন অনুবৃত্ত হইতে থাকে এবং সেই কারণে প্রতি বৎসরান্তে উহার পরিসমাপ্তি ঘটে না, যদিও যে কোন পক্ষের ইচ্ছানুযায়ী পরিত্যাগের যথাযথ নোটিস দ্বারা যে কোন বৎসরঅন্তে উহার পরিসমাপ্তি ঘটানো যায়। – ১৩ ডব্লিউ. আর ১৯০।

টীকা (১৩) : “এক বৎসরের অধিক মেয়াদের জন্য ইজারা (Lease for a term exceeding one year)” পরবর্তী এক বৎসর সময়ের জন্য নবায়নের অভিপ্রায় সংবলিত একসনা ইজারা, এক বৎসরের অধিক মেয়াদি ইজারা নহে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নবায়ন কার্যকর হওয়ার পূর্বে ইজারা গ্রহীতার কিছুকরণীয় থাকে, যেমন- ইজারাদাতাকে পূর্বাহ্নে নোটিস প্রদান করা। কিš‘ যেক্ষেত্রে ইজারা গ্রহীতা কর্তৃক কোন কিছুকরণীয় নাই, সেইক্ষেত্রে কোন নতুন দলিলের আবশ্যকতা নাই এবং কোন নোটিস প্রদানেরও প্রয়োজন নাই এবং যতদিন পযন্ত ইজারা গ্রহীতা এক বৎসরের অধিক মেয়াদের ইজারার অধীন তাহার বাধ্যবাধকতা পালন করেন, ততদিন পর্যন্ত ইজারা বহাল রাখিবার অধিকার তাহার আছে।

টীকা (১৪) : “বাৎসরিক খাজনা সংরক্ষিত ইজারা (Lease reserving a yearly rent)” ১৭(১) ধারার (ঘ) দফায় যে ধরনের ইজারার উল্লেখ করা হইয়াছে সেই রকম কোন ইজারায় বাৎসরিক খাজনা সংরক্ষিত থাকিলে যথাযথ ব্যাখ্যায় ইহা অবশ্যই একটি সন সনা জোতের সৃষ্টি করিবে (১৯৫৬-২ মাদ্রাজ ১ জে, ৭৫)। যদিও কোন ইজারায় মাসিক বা ষান্মাসিক খাজনা পরিশোধযোগ্য হইবে মর্মে ব্যবস্থা রাখা হয়, তথাপি বাৎসরিক খাজনা সংরক্ষিত থাকিলে ইজারা বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধিত হইবে। – ১৯১৯, ২৩ সি.ডব্লিউ.এন ৬৪১; ১৯২৫-৬ লাহোর ৩১৯১।

টীকা (১৫) : “সংরক্ষিত খাজনা (Rent reserved)” ইহা ইজারা গ্রহীতা কর্তৃক সাময়িকভাবে বা কোন নির্দিষ্ট সময়ে পণ স্বরূপ ইজারা দাতাকে দেয় টাকা, ফসলের অংশ, সেবা বা যে কোন মূল্যবান বস্তু হইতে পারে (সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ধারা ১০৫ দ্রষ্টব্য)।

টীকা (১৬) : “আপোস-রফা দলিল (A composition deed)” ইহা একটি চুক্তিপত্র যাহা দ্বারা মহাজন খাতকের নিকট হইতে তাহার প্রাপ্য দাবি অপেক্ষা কম পরিশোধকেই সন্তুষ্টির সহিত পূর্ণ পরিশোধ হিসাবে গ্রহণ করিতে সম্মত হন (দ্রষ্টব্য: ল’জ অব ইংল্যান্ড -হলসবারী, ভলিয়ম ১১ পৃঃ ৩২৬)।

টীকা (১৭) : ‘যৌথ মূলধনী কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত দলিল’ স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হইলেও উহার নিবন্ধন আবশ্যক নহে। উক্তরূপ কোম্পানির সম্পদ সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে স্থাবর সম্পত্তি হওয়া সত্তেও নিবন্ধন আইনের ধারা ১৭(২)(খ) যৌথ মূলধনী কোম্পানিতে শেয়ার সংক্রান্ত দলিল নিবন্ধনের আবশ্যকতা পরিহার করিয়াছে। তবে পার্টনারশিপ ফার্মের বিষয়ে এইরূপ বিধান করা হয় নাই। – ২০ ডি.এল.আর ১০৫৬।

টীকা (১৮) : “১৭(২) ধারার দফা (ঙ) -এ কেবলমাত্র অপর একটি দলিল পাইবার অধিকার সৃষ্টিকারী দলিল”। এই দফার বিধান অনুযায়ী ইহা একটি দলিল যাহা স্বয়ং স্থাবর সম্পত্তিতে কোন অধিকার সৃষ্টি করে না শুধুমাত্র অপর একটি দলিল লাভ করিবার অধিকার সৃষ্টি করে, যাহা সম্পাদিত হইলে এইরূপ স্বত্বের সৃষ্টি করিবে যাহা (অপর দলিল সৃষ্টিকারী দলিল) নিবন্ধিত হওয়ার প্রয়োজন নাই। স্ব ত্বার্পণ বা বন্ধক বা বাটোয়ারার উদ্দেশ্যে চুক্তিপত্র এই দফা (ঙ) এর অন্তর্গত। ইজারার চুক্তিপত্র যদি তাৎক্ষণিক কোন হস্তান্তর সৃষ্টি না করে, তাহা হইলে উক্ত ইজারা এই দফার আওতায় পড়ে। দানপত্র সৃষ্টির চুক্তিপত্র দফা (ঙ) এর আওতায় পড়ে না কারণ উহা চুক্তি আইনের ২৫(১) ধারার অধীন বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধিত হইবে।

টীকা (১৯) : “ধারা ১৭(৩) -এ দত্তক গ্রহণের প্রাধিকারপত্র” – ইহা এমন একটি দলিল যাহা দ্বারা স্ত্রী তাহার স্বামী কর্তৃক স্বামীর মৃত্যুর পর তাহার (স্বামীর) জন্য পুত্র সন্তান দত্তক গ্রহণের প্রাধিকার লাভ করেন। ইহাকে দত্তকগ্র হণ দলিলের সহিত মিলাইয়া ফেলা উচিত হইবে না, কারণ দত্তকগ্রহণ দলিল শুধুমাত্র দত্তক পুত্র গ্রহণের বিষয়টি ঘোষণা করে। আইন পরামর্শকের মত এই যে, যে হিন্দুনাবালক সাবালকত্ব আইন অনুযায়ী সাবালকত্ব প্রাপ্ত হয় নাই তাহার দ্বারা, দত্তক গ্রহণের ক্ষমতাপত্র সম্পাদিত হইতে পারিবে না। এইরূপ দলিল নাবালক কর্তৃক সম্পাদিত হইলেও নিবন্ধিত হইতে পারিবে না। দত্তকগ্রহণ দলিল স্থাবর সম্পত্তিতে স্বার্থ সৃষ্টি বা হস্তান্তর না করিলে নিবন্ধন আবশ্যক হয় না। ইহা এইরূপ স্বার্থ সৃষ্টি বা হস্তান্তর করিলে নিবন্ধন আবশ্যক হয়। – ১৯১৪. ৩৮ বোম্বাই, ২২৭।

টীকা (২০) : “নিদর্শনপত্র (Instruments)”- “দলিল” এবং “নিদর্শ নপত্র” শব্দ দুইটি পরস্পর পরিবর্তনীয় অর্থে এই আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে।

[১২] বাংলাদেশ ল’জ (রিভিশন এন্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সনের ৮নং আইন) এর ধারা ৩ ও ২য় তফসিল দ্বারা ‘‘১৮৬৪ সনের ১৬নং আইন, বা ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৮৬৬, বা ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৮৭১, বা ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৮৭৭ বা’’ শব্দ, বর্ণ, অংক এবং কমাসমূহ বিলুপ্ত।

[১৩] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫নং আইন) এর ধারা ৩ দ্বারা দফা (কক) সন্নিবেশিত।

[১৪] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪১নং আইন) এর ধারা ২ দ্বারা দফা (ককক) সন্নিবেশিত।

[১৫] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫নং আইন) এর ধারা ২ দ্বারা ‘‘একশত টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যের,’’ শব্দসমূহ ও কমাটি বিলুপ্ত।

[১৬] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫নং আইন) এর ধারা ৩ দ্বারা দফা (গগ) সন্নিবেশিত।

[১৭] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের২৫নং আইন) এর ধারা ২ দ্বারা ‘‘একশত টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যের,’’ শব্দসমূহ ও কমাটি বিলুপ্ত।

[১৮] নিবন্ধন (সংশোধনী) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫নং আইন) এর ধারা ৩ দ্বারা দফা (চ) এবং (ছ) সংযোজিত।

[১৯] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের২৫নং আইন) এর ধারা ২ দ্বারা ‘‘একশত টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যের,’’ শব্দসমূহ ও কমাটি বিলুপ্ত।

[২০] নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫নং আইন) এর ধারা ৩ দ্বারা ‘‘ব্যাখ্যা’’ অংশটি বিলুপ্ত।