ধারা ১ঃ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, ব্যাপ্তি ও প্রবর্তন

(১) এই আইন নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ নামে অভিহিত হইবে।

(২) সরকার দেশের যে সকল জেলা বা অঞ্চল এই আইনের আওতা বহির্ভূত রাখিবে সেই সকল জেলা বা অঞ্চল ব্যতীত, সমগ্র [১][বাংলাদেশে] এই আইন প্রযোজ্য হইবে।

(৩) ইহা ১৯০৯ সনের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিবস হইতে বলবৎ হইবে।

টীকা (১) : স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদের বিধানমতে ১৯০৮ সনের নিবন্ধন আইন (১৯০৮ সনের ১৬নং আইন) পূর্বধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বলবৎ রহিয়াছে। পরবর্তীতে নিবন্ধন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ (১৯৮৫ সনের ৫০নং অধ্যাদেশ); অর্থ আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ১৪নং আইন); নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৫নং আইন); নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৭নং আইন) এবং নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪১নং আইন) দ্বারা সময় সময় এই আইনকে অধিকতর সংশোধন করা হইয়াছে।

টীকা (২) : “বহির্ভূত রাখা (exclude)” – পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে এই আইনের আওতা বহির্ভূত রাখা হইয়াছে।


[১] অন্যথা না হইলে, এই আইনের সর্বত্র, বাংলাদেশ ল’জ (রিভিশন এন্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সনের ৮নং আইন) এর ধারা ৩ ও ২য় তফসিল দ্বারা ‘পাকিস্তান’, ‘প্রাদেশিক সরকার’ বা ‘কেন্দ্রীয় সরকার’ এবং ‘রুপি’ শব্দগুলির পরিবর্তে যথাক্রমে ‘বাংলাদেশ’, ‘সরকার’ এবং ‘টাকা’ শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত।