এরূপ দলিল সাধারণ বন্ধকনামা বা সাধারণ বন্ধকপত্র হিসেবে পরিচিত। বন্ধকের বা রেহেনের মূল্য নির্বিশেষে, দলিল জমা দেওয়া রেহেন ব্যতীত অন্যান্য রেহেন কেবলমাত্র দলিলদাতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও দুইজন সাক্ষী কর্তৃক প্রত্যয়িত রেজিস্ট্রি দলিল দ্বারাই সম্পাদন করা যেতে পারে। মূল্য নির্বিশেষে উক্তরূপ স্বাক্ষরিত ও প্রত্যয়িত দলিল দ্বারা অথবা সাধারণ রেহেন ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পত্তির দখল অর্পণ দ্বারা রেহেন কার্যকর করা যেতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বা ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার অনুযায়ী কোন তফসিলি ব্যাংক অথবা ১৯৯৩ সালের ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন আইনের সংজ্ঞানুযায়ী কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট স্বত্বের দলিল জমার মাধ্যমে বন্ধকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে বন্ধক কার্যকর হয়। বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কোন ঋণ বা অগ্রিম অর্থ পরিশোধের জামিন গ্রহণ করা অথবা যে কাজ সম্পন্নে আর্থিক দায়িত্ব রয়েছে, তার জামিন গ্রহণ করা বন্ধক এবং যে দলিলের মাধ্যমে উক্ত বন্ধক প্রদান বা গ্রহণ সম্পন্ন হয়, তাকে বন্ধকনামা বলে।
সর্বশেষ হালনাগাদঃ জুলাই ২২, ২০২২